আমি দিনকে দেখেছি আমারি মধ্যে আমারি
মধ্যে দেখেছি রাত।
আমারি মধ্যে ডুবেছে সূর্য আমারি
মধ্যে হয়েছে প্রাত।
আমি মহাকাল আমি বিস্ময় এরোসের শত যাতনা
আমি কামিনী আমিই মোহিনী সৃষ্টি লুপ্তের
রচনা।
অমাবস্যা পূর্ণিমাতে এই আমারি মাঝে
হয়েছে জোয়ার হয়েছে ভাটা সকাল কিংবা
সাঝে।
শ্রাবণে যেমন উত্তাল নদে আছড়ে পড়ে ঢেউ
আমাকেই আমি বেঁধেছি আমাতে জানেনাই তা
কেউ।
বৈশাখেরি তপ্ত দহনে যতবার পোড়ে ধরণী?
একি সে দাহনে আমিও পুরেছি রেখে সাক্ষী
অবনী।
আমিই হয়েছি আষাঢ়ে কদম বোশেখে কৃষ্ণচূড়া
আমারি মধ্যে শুনেছি মন্ত্র শুনেছ পবিত্র
সুরা।
তুলসী তলায় প্রদীপ হয়েছি মাজারে আগরবাতি
আমি কিন্তু গির্জাতে গিয়ে হয়েছি মোমের
বাতি।
শরতের নীল স্বচ্ছ আকাশে হয়ে নবমীর চাঁদ
আলো হয়ে ঝরে নিজেই নিজের পূর্ণ করেছি
সাধ।
বৃষ্টি স্নাত স্নিগ্ধ আকাশে রংধনু হয়ে
সেজেছি
শ্মশানের কালো ছাই হয়ে আমি ভগ্নস্তূপে
উড়েছি।
শীতের সকালে শ্যামল ঘাসেতে হয়েছি শিশির
বিন্দু,
আমিই আবার সমীরণ হয়ে পেরিয়েছি মহা
সিন্ধু।
রূপালী আভা গায়ে মেখে আমি ইলিশ হয়েছি
পদ্মায়
আমি আবার বাজ পাখি হয়ে উড়েছি দারুন
স্পর্ধায়।
পাহাড়ের সাথে পাথর হয়েছি পানি হয়ে মিশি
নদীতে
আধার হয়েছি যামিনীর আমি মিশেছি পথের
ধুলিতে
দুখেতে আমি অশ্রু হয়েছি সুখেতে হয়েছি
হাসি,
চোখের জল বা মুখের হাসি দুটোকেই আমি খুব
ভালবাসি।
ভুবন ভরিয়া প্রেম ছড়িয়েছি হয়ে শ্যামের
বাঁশরি
এজিদ হয়ে কারবালাকে রাঙিয়েছে মোর
তরবারি।
লক্ষ্মি কিংবা দূর্গা হয়েই বসুধা কে আমি
গড়েছি
আমিই আবার কালী হয়ে অসুরকে বধ করেছি।
আমার মাঝেই জন্ম রয়েছে আমার মাঝেই
মৃত্যু রয়
আমার জন্ম আমার মৃত্যু আমার মাঝেই হয়।
ভুলে নিজের কক্ষপথ ভাসছি ভুতুড়ে
ব্রক্ষ্মাণ্ডে
আমিই একটা পৃথিবী এখন আমার মনের
প্রকাণ্ডে।